Posts

Showing posts from May, 2018

আসুন অসহায়দের পাশে দাড়ায়- জান্নাতুল ফেরদৌস

Image
গত বছর ঠিক ইফতারের আগের সময় বাসায় ফিরবো, কি ভেবে যেনো সেন্ট্রাল প্লাজার সামনে দাঁড়াই হয়ত কোনো কাজ মাথায় এসেছে। সেন্ট্রাল প্লাজার নিচে কিন্তু কেন্ডী বিরিয়ানি সেরা।সব্বাই সেখানে বিরিয়ানি খেতে যায়।। অনেক ভীড় এতটা ভীড় ইফতারের সময় হয়ে থাকে স্বাভাবিক। এত ভিড়ের মাঝে এক মা আর তার দুই সন্তান কে দেখলাম একটা কোলের বাচ্চা আরেকটা চিল্লাচ্ছে বিরিয়ানি খাবে বলে। নাহ বাচ্চা রোজা রাখেনি তবে মা রেখেছে তাই বলতে ছিলো আজান দেক, আজান দেক। মানুষ টার মুখের দিকে তাকালে বুঝা যায় তার হাতে এই বিরিয়ানির প্যাকেট টা উঠবেনা যদি নাহ কেউ দেই। তবুও মা আশায় দাঁড়িয়ে আছে,কি নিষ্পাপ মা গুলো। সন্তান এর জন্য রোজা রেখে কেমন জানি হাতে পায়ে ধরছে,চেহারাই সব বলে দিচ্ছে। মায়া লাগছে বড্ড মায়া, মানুষ খুব ব্যাস্ত নজর নেই কারোর হয়ত আছে আমার মত ভাবছে আর মায়া দেখছে। নাহ আর টিকা গেলোনা আব্বুর কল দেখে বুঝলাম তাড়া দিচ্ছে আমাকে যেতে হবে। কিন্তু এভাবে কিভাবে যায়?! বাজে অভ্যাস সব কিছুর শেষ না দেখে যেতে পারিনা অভ্যাস নেই। ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম বাহানা করা যাবে। ব্যাপার নাহ। তাই দাঁড়িয়ে আছি আর তাকিয়ে দেখছি কে কি করে।...

কথাগুলো আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয়...ওদের ভালোবাসার কাছে আমি হেরে যাই।______লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নাজমুর রহমান

Image
তিনি এমনই একজন শিক্ষক। যার ট্রান্সফারের খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের মনের আকাশে জমে মেঘ, কর্মকর্তা কর্মচারীরা আড়ালে ফেলেন চোখের জল। যেন এক রুপকথার গল্প। শোনার পরে ঘিরে থাকবে একরাশ মুগ্ধতা। রংপুরের দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যান্ড কলেজের লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নাজমুর রহমান। যিনি গোটা প্রতিষ্ঠানটি সাজিয়েছেন রুপকথার মতো। যিনি অধ্যক্ষ হয়েও ক্যান্টিনে গিয়ে সিঙ্গারা বিক্রি করতে পারেন, মাঠে নেমে পড়তে পারেন বাচ্চাদের সাথে কানামাছি খেলতে কিংবা অনুষ্ঠানে আয়োজনে র‍্যালিতে রিকশা ভ্যান নিজেই চালিয়ে যেতে পারেন। এমনই একজন অভিভাবকের যখন ট্রান্সফারের সংবাদ আসে স্বাভাবিকভাবেই চোখের জল কেউ ধরে রাখতে পারেন না। তাহলে ছোট ছোট শিশুরা কীভাবে পারবে। বিদায়ের খবর শুনে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়ে শিক্ষার্থীরা। অফিস কক্ষে এসে ঘিরে ধরে প্রিয় স্যারকে। কিন্তু উপায় কী? তাহলে কী এতোগুলো মানুষের ভালোবাসা, চোখের জল বৃথা হয়ে যাবে? শেষ পর্যন্ত বৃথা যায়নি।  তার আগে আসুন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নাজমুর রহমানের আবেগ ঘন ফেসবুক পোস্টটি পড়ি। যেটি তিনি নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে পোস...

মেয়েদেরকে সম্মান করতে শিখো, পুরো জাতি তোমাকে সম্মান করবে।______সাদিয়া ইসলাম

Image
ঘটনাটা গতকালের!! সচিবালয়ের সামনে তোপখানা রোডে আমি আর আমার ফ্রেন্ড Sadia Ferdousi জ্যামে রিকশায় বসে থাকা অবস্থায়,পাশে একটা বাইক আসে থামে এবং বাইকের ছেলে দুইটার থামার সাথে সাথেই আমাদের দিক তাকায় বলতেছিলো "এতক্ষণে একটা ভালো জায়গায় জ্যাম পড়ছে"। এরপর থেকেই Continuously they were looking at us and commenting... For ignoring that bull shits আমরা কানে হেডফোন লাগাই.. And after that সামনের ছেলেটা বাইকের looking glass আমাদের দিকে ঘুরায় এবং খুব বাজে ভাবে glass touch করতে থাকে এবং বাজে কমেন্ট করতে থাকে! So that time we couldn't stay quiet..  কানের হেডফোনটা নামায় আমি বলি "ভাইয়া কোনো সমস্যা?  Behave properly.Just because we didn't react that doesn't mean we didn't notice anything."   বাইকের সামনের অসভ্য ছেলেটা সাথে সাথে বলে উঠে "আমরা কি আপনাদের কিছু বলছি? নিজেদের কি অনেক সুন্দর মনে করেন,থুঃ! আর আমাদের কথা শুনার জন্যে কান থেকে হেডফোন নামাইসেন কেন? " then when we said আপনারা continuously tease করে যাচ্ছেন আর আমরা কিছু বলবো ...

শেষ চিঠি... আশরাফুল হক আশরাফ

Image
দিনটা সব দিন এর মতই ছিল। রোজ যেভাবে যেতাম তার সাথে দেখা করতে সেভাবেই যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ যেয়ে দেখি সে তার জায়গায় নেই। অনেক খুঁজলাম, ফোন দিলাম। কিন্তু কিছুতেই তাকে পেলাম না। ফিরে চলে গেলাম আমার বাসায়। তারপর তাকে মেসেজ দিলাম, "কই ছিলে তুমি?" উত্তরে বলল, "বাসা থেকে বের হতে পারিনি, সরি।" এভাবে নানান ভালোবাসার কথা মধ্যে চলছিল দিন। কিন্তু কে জানতো এই ভালবাসার শেষ এমন হবে? আবার কিছু দিন পর তার সাথে দেখা করতে যাই। সেইদিন আকাশটাও কেমন জানি ছিল। চারদিকে অন্ধকার বাতাস আর ধুলোবালির খেলা। মানুষগুলোকেও কেমন জানি লাগছিলো, যেন আমাকে মেরে ফেলবে। আবার চেনা জায়গাও ছিল অচেনা। কেমন জানি বুকটা অবশেষে তার সাথে দেখা হয়। চিন্তা করলাম বৃষ্টি নামতে পারে তাহলে একটা জায়গায় যাই। আমরা কথা বলার পাশাপাশি হাঁটা ধরলাম দুইজন দুইজন এর হাত ধরে। রাস্তার ওই পারে একটা ভালো খাবারের দোকান। কিন্তু সেই সময় শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি। সে যদি আর ভিজতে না পারে তাই তাকে নিয়ে সুন্দর রাস্তা পার হচ্ছিলাম কিন্তু এক দমকা বাতাস আসার ফলে আমরা থেমে যাই রাস্তার মাঝে কিন্তু রাস্তায় আসা গাড়িটা থামত...

জীবনের হিসাব যেন 'জীবনে কী পেলাম না' সেটা দিয়ে না মেলাই, কী পেয়েছি বরং সেটা দিয়ে। ---------- ডাঃ সায়েদুল আশরাফ কুশাল

Image
আমার প্রথম সন্তান মাশিয়ার যখন জন্ম, তখন আমি এবং আমার স্ত্রী দুইজনই ফিফথ ইয়ারে। মাশিয়ার জন্ম ছিল একটি মেডিকেল মির‍্যাকল। আমার স্ত্রীর কিছু সমস্যা ছিল যার কারণে ওর মা হতে পারার কথা ছিল না। ব্যাপারটা আমি বিয়ের আগে থেকেই জানতাম। নিজেকে বুঝালাম - পুরো পৃথিবীকে না, আমার আসলে শুধুমাত্র একজন মানুষের কাছে নিজের মনুষ্যত্বের পরীক্ষাটা দিতে হবে। আমি চাইলেই তাকে হতাশার সাগরে একা ছেড়ে দিতে পারি, আবার সারাজীবনের জন্যে তার পাশেও দাঁড়াতে পারি। তাই পছন্দের মানুষটা কখনো মা হতে পারবেনা এটা জানার পরেও থার্ড ইয়ারে থাকা অবস্থাতেই, মানসিক সুস্থতার জন্যে হলেও, ওর সব দায়িত্ব নেয়া আমার কাছে জরুরী বলে মনে হয়। সব জেনে-বুঝে ঠান্ডা মাথায় পরিবারকে বুঝাই। ২০০৭ সালের মে মাসে আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। ইনফার্টিলিটির চিকিৎসা ছিল আমাদের কাছে এক ভয়াবহ মানসিক যুদ্ধের নাম। অনেক চেষ্টার পরে, বিয়ের প্রায় তিন বছর পর,পৃথিবী আলো করে আমাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। ডাক্তার মেয়েটাকে কোলে দিয়ে বলেছিলেন - "ও তোমাদের বিস্ময় শিশু! আগলে রেখ।” আমাদের ফাইনাল প্রফের আর ৫ মাস বাকি তখন। আমার স্ত্রী ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল...

অসীম ভালবাসার মানুষ টি হলেন মমতাময়ী মা________ আশরাফুল হক

Image
ঢাকা হতে চট্রগ্রামের পথে...... বাসে একটি স্মার্ট মেয়ে হা করে ঘুমাচ্ছে! একেকজন একটু পরপর আড়চোখে তাকিয়ে দেখছে। ব্যাপারটা মোটেও ভাল দেখাচ্ছে না। যেহেতু আমি তার যাত্রী প্রতিবেশী.. মানে পাশের সিটে বসা, তাই আমারও একটা দায়িত্ব আছে মেয়েটিকে ঘুম থেকে একটু জাগিয়ে দেয়া। নয়তো একেক জনের তাকিমাকি এভাবে লেগেই থাকবে। . বুদ্ধি খাটিয়ে বাসের জানালাটা খুলে দেয়ায় অজুহাতে দাঁড়িয়ে গেলাম। মেয়েটাও এবার একটু নড়েচড়ে বসলো। হাতদিয়ে টেনেটুনে জামাটা ঠিকঠাক করে নিল। খোলা জানালায় দমকা বাতাসে মুখের উপর পড়েথাকা চুলগুলো পুরোটুক সরে যায়। এই প্রথম মেয়েটার দিকে ভালোভাবে তাকালাম। দেখে আমিও আর দশজনের মত চমকে গেলাম! ধবধবে সাদা গালে স্পষ্ট পাঁচ আঙুলের লালচে ছাপ! চোখ পড়তেই মেয়েটি চুল দিয়ে আবারো গালটি কেশের আড়াল করে রাখলো। বিষয়টা একটু ভাবিয়ে তোলে আমাকে। . মেয়েটির কোল ঘেসে ঘুমিয়ে আছে ছোট্ট একটি বাচ্চা মেয়ে। বয়স আনুমানিক তিন থেকে সাড়েতিন হবে। মা নিজেই দেখতে একটি পুতুলের মতন, তারও আবার নাকি কোলে একটি পুতুল আছে! সত্যিই অনেক মিষ্টি একটা ব্যাপার! কিন্তু কি হয়েছে তাদ...