নীলাঞ্জনার নীড়ে

উনারর মতে গতকাল আমার মধ্যে নাকি ভালো মানুষি উদয় হয়েছিলো। মাথায় তৈল,চুল গুলারে বেণি কর্ছিলাম তাই। দরজা খোলতেই বলে উঠলো কিরে শরীরে অসুখ করেছে নাকি বলেই কপালে হাত,না জ্বর তো নেই,তবে কেন মাথায় তেল বেনুনী গাথা ; তবে কি আমার পাগলননী বউ মানুষে রুপান্তরিত হইছে? এক শ্বাসে বললো আমিঃদেখেন ঝগড়া করার মোডে নেই আমি,আজ নিয়্যত করলাম ঝগড়া করবোইনা একদম। উনিঃহুম হুম ঝগড়া না করাই শ্রেয় আজ,কারণ আজ তোমায় মফিজা মফিজা লাগছে,ঝগড়া করলেও মানাবেনা একদম। আমিঃকিহ আম্রে মফিজা কইলেন? উনিঃহুম হুম,মফিজাই না শুধু ঘসেটি বেগম ও বটে। আমিঃউফফফফ,চেতাইবেন্না আমারে প্রত্যেক দিনই তো বকেন,মাথায় তেল দেইনা ক্যান,চুল খুইল্লা রাখি ক্যান,আর আইজ যেই মাত্র তেল দিলাম আর ওমনিই শুরু কইরা দিলেন? শুনেন!মফিজা হইলেও আমি আপনেরই বউ,পাগলনি হইলেও আমি আপনের বউ,কালা হইলেও আমি আপনেরই বউ। উনিঃওহ হো!তুমি আমার বউ,ভুলেই তো গেছিলাম আমি মানুষ তো আমাকে ব্যাচেলর ভাবে। ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ... তারপর??? তারপর আর কি? গাল ফুলিয়ে না খেয়ে রাত্রীযাপন দুজন দুজন কে পিছ দিয়ে শুয়ে থাকা।আরোও অনেক কিছু। হ্যাঁ!বুবুইরা এটাই জানতে চাই সবার সংসারেই কি এমনন ঝগড়া ...

কেয়া আমার পায়ে ধরে কান্নাকাটি করতাছে।। আমি মহা বিরক্ত, পাবলিক প্লেসে এই ভর সন্ধ্যায় আমাদের এই রঙ তামাশা আশে পাশের সবার বিনোদনের খোরাক।। এমনিতেই আমি জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটির পোলাপন ভয় পাই, ঢাকা থেকে এসে এখানে প্রেম করি।। আমি বললাম, কেয়া উঠ নইলে লাত্থি খাবি।। সে ভ্যাঁ ভ্যাঁ কইরা কান্দে আর বলে মাফ কইরা দেও, মাফ কইরা দেও।। আমি রাগে দুক্ষে কইলাম- মাফ দিছি উঠ।। সে চোখ মুছতে মুছতে উঠে দাঁড়ায়।। আসলে, ঢাবির সূর্যসেন হল থেকে আমি জাবির খালেদা জিয়া হলে চলে আসলাম, আর সে কিনা হলের ৪১৩ নাম্বার রুম থেকে নামতে পাক্কা ১৯ মিনিট লেট।। আমি রাগে ঢাকা ফিরে যাবার জন্যে ঘুরে হাঁটা দিলাম, ঠিক এই সময় মেয়েটা আমার পা জড়িয়ে কান্নাকাটি।। এত ইমোশোনাল মাইয়া, প্রেম কইরা মহা বিপদে আছি।। ভাইগা যাইতে মন চায় আমার।। ওরে নিয়া দ্রুত স্থান ত্যাগ করলাম।। এই জায়গার পাবলিকরে আর কত রঙ তামাশা দেখামু, অন্যেদেরো হক আছে।। ........ আমি ধীরে ধীরে সিদ্ধান্ত নিয়া ফালাইছি, ঢাবিতে পইড়া অই সুদূর জাবি-ফাবিতে প্রেম ট্রেম আমার পোষাইবো না।। কেয়াকে অপশনাল বানাইয়া নয়া একটা বা দুইটাও প্রেম করা যেতে পারে।। আসলে যে যামানা, শুধু প্রেম করত...

আমার প্রথম রিলেশন ব্রেকাপ করেছিলাম সেদিন , যখন জানতে পারলাম আমার বফের ১৪ টা বোন।   আমার বফ আমাদের কলেজেই পড়তো আমার এক ব্যাচ উপরে।   এক সপ্তাহ ডেট করার পর শুনলাম তার বোন ১৪ টা , ৫ জনের বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু তারা স্বামী সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকে।   বাকি বোনদের বিয়ে হলেও তারা নাকি এখানেই থাকবে।   বফকে জিজ্ঞেস করলাম , এমন নিয়ম কেন ?  তার উত্তর , তার বাবা কোনো মেয়েকে দূরে রেখে থাকতে পারবে না। তাই প্রত্যেকটা মেয়েকে নিজের কাছে রাখবেন এবং জামাইদেরকে ঘরজামাই হিসেবে।   এটা শুনে আমি আক্কেলগুড়ুম ! ১৪ টা মেয়ে , তাদের জামাই সহ হবে ২৮। তারপর তাদের প্রত্যেকের ২ - ৪ টা করে বাচ্চাকাচ্চা হলে তো এই বাড়ি থেকেই ফুটবল , ক্রিকেট টিম বের হয়ে আসবে কয়েকটা অনায়াসে।   এতো বড় পরিবারের সাথে আমার থাকা সম্ভব না। তাই ব্রেকাপ করে দিলাম।   তার কিছুদিন পর আমার এক কাজিনের ফ্রেন্ড এর সাথে পরিচয়। কাজিনের বার্থডে পার্টিতে ছেলেটা আমার ফ...